মহামারী করোনা ভাইরাসের ভুয়া টেস্ট ও জাল সনদ প্রদানসহ বহু প্রতারণার মামলার আসামি ও দেশব্যাপী আলোচিত মহাপ্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো তাকে গ্রেপ্তারস্থল শাঁখরা কোমরপুর সীমান্তে নিয়ে এসেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টা ১১ মিনিটে কোমরপুরের লাবণ্যবতী নদীর বেইলী ব্রিজের ওপর নিয়ে আসে র্যাব সদস্যরা। এরপর উৎসুক সাধারণ মানুষকে সরিয়ে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিজ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সরিয়ে ৫-৭ মিনিট সাহেদের সাথে কথাবার্তা বলে আবারও র্যাব সদস্যরা তাকে গাড়িতে ওঠায়।
এসময় সাহেদের মুখমণ্ডল ছিল হেলমেটে ঢাকা, গায়ে ছিল গেঞ্জি ও র্যাবের নিরাপত্তা জ্যাকেট।
প্রথমে সাহেদকে বহনকারী সাদা রঙয়ের মাইক্রো বাসটিকে লাবণ্যবতী ব্রিজের ওপর নেয়া হয়। সেখানে তাকে নামিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আবার সেখান থেকেই সাহেদকে গাড়িতে উঠিয়ে ফের খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় র্যাব। এসময় তদন্তের স্বার্থে র্যাব উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কোন ধরনের প্রশ্ন করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
উল্লেখ্য, মহামারী করোনা ভাইরাসের টেস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে সাহেদের মালিকানাধীন ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল সনদ উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা এবং রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ ও এমডিসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে ছিলেন মহাপ্রতারক সাহেদ।
পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই (বুধবার) ভোররাতে ভারতে পালানোর প্রস্তুতিকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্তের লাবণ্যবতী নদীর পাশ থেকে বোরকা পরা অবস্থায় একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ মহা প্রতারক সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় সাহেদসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব। মূলত ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহেদকে সম্প্রতি ১০ দিনের রিমান্ডে খুলনা র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে নেয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আবারো আটকস্থলে নিয়ে আসা হয়।