ঘটনাটি ঘটার পর পরেই খালিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়, কিন্তু সেই খালিদের মুখে ছিলো বিজয়ের হাসি, তার সাথে সেলফি তোলার জন্য আইনজীবীরাও ব্যস্ত , এমনি দৃশ্য দেখা গেলো আদালত প্রাঙ্গণে, বিশ্ব মুসলিমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে তাকে বীর খালিদ উপাধি দেয়। আদালতে উঠানো সময় তাকে চুমু খায় তার বাবা সহ বিভিন্ন সহপাঠীরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি আদালতের কক্ষে ধর্ম অবমাননা আইনে অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দেশটির পেশোয়ারের আদালতে শুনানি চলার মধ্যেই অভিযুক্ত তাহির আহমেদ নাসিমকে হত্যা করা হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, সেখানে খালিদ নামে এক ব্যক্তি নাসিমকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায়। আদালতেই তার মৃত্যু হয়।
নাসিমের বিরুদ্ধে নিজেকে নবী দাবির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০১৮ সালে গ্রেফতারের হন নাসিম। এরপর থেকেই তিনি পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। মামলায় নাসিমের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনের ২৯৫-এ, ২৯৫-বি এবং ২৯৫-সি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
জানা গেছে তাহির ছিলেন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রদায়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি এই সম্প্রদায় ছেড়ে চলে যান এবং নিজেকে নবী ভাবতেন। ইউটিউবে এ নিয়ে ভিডিও আপলোড করেছিলেন। মুখপাত্রের ধারণা, তাহির মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাহিরের হত্যাকারী অপরাধ স্বীকার করেছে। খালিদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাহির ধর্ম অবমাননার মতো অপরাধ করেছিলেন বলেই তাকে গুলি করা হয়েছে।